সর্বশেষ

জাল টাকা জমা হতো ব্যাংকে

/ কারখানায় অভিযান /

প্রকাশ :


/ বিপুল জাল টাকা ও সরঞ্জাম জব্দ করেছে ডিবি /

২৪খবরবিডি: 'রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকার কারখানা তৈরি করেছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা (চাকরিচ্যুত) মো. হুমায়ুন কবির। সহযোগীদের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে জাল টাকাগুলো সাপ্লাই করতেন তিনি। আবার ব্যাংকে যখন প্রচুর ভিড় হতো তখন অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল টাকা ব্যাংকে জমা দিতেন। প্রতি ১ লাখ জাল টাকার বিনিময়ে কারখানার মালিক হুমায়ুন পেতেন ১০ হাজার।'

আসন্ন দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে মাসে ৬০ লাখ টাকা রোলিং করার টার্গেটে বর্তমানে কাজ করছিল চক্রটি। জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ চক্রের মূল হোতা হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। যারা ব্যাংকে টাকা লেনদেন করেন তাদের ভালো করে চেক করে মেশিনে যাচাই-বাছাই করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

'গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বুধবার রাতে মোহাম্মদপুর থানার চাঁদ উদ্যান এলাকার ৪ নম্বর রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করা হয়।

জাল  টাকা  জমা  হতো  ব্যাংকে

এ সময় সময় তার কাছ থেকে ১৬ লাখ জাল টাকা, একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, একটি ল্যামিনেশন মেশিন, একটি পেস্টিং গামের কৌটা, তিনটি টাকা তৈরির ডাইস, দুই বান্ডিল ফয়েল পেপার, দুই প্যাকেট টাকা তৈরির কাগজ ও দুটি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়। কোন কোন ব্যাংকে জাল টাকা দিয়েছে চক্রটি এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান ব্যাংকগুলোর নাম জানাননি।'

-এ অবৈধ কাজে তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছেন কি না জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, 'একসময় তিনি পুলিশে চাকরি করতেন। এখন জাল টাকা তৈরি করছেন। তাই বলে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ছাড় দিচ্ছে না। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। অবৈধভাবে কেউ বড়লোক হতে চাইলে তাকেও আমরা আইনের আওতায় আনব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন জানিয়েছেন তারা জাল টাকা পাচারও করতেন। এর সত্যতা আছে কি না তা-ও আমরা যাচাই করছি।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত